রাবি ও রুয়েটের ইয়াবা চক্রের তালিকায় সাত শিক্ষক
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ও রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) ঘিরে গড়ে ওঠা ইয়াবা ব্যবসা চক্রের ৪৪ জনকে শনাক্ত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের মাদক শাখা। যা প্রধানমন্ত্রীর দফতর হয়ে চলতি মাসের শুরুতে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের দফতরে পৌঁছেছে। একই কপি রাবি ও রুয়েট কর্তৃপক্ষ কেও পাঠানো হয়েছে।
ওই তালিকায় রয়েছেন রাবির ৩৪ জন ও রুয়েটের ১০ জন। এদের মধ্যে রাবির ছয়জন শিক্ষক, আটজন কর্মকর্তা-কর্মচারী, ১১ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী, তিনজন সাবেক ছাত্রদল নেতা ও ছয়জন সাধারণ শিক্ষার্থী। আর রুয়েটের একজন শিক্ষক, দুইজন ছাত্রী ও সাতজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম উঠে এসেছে গোপন ওই তালিকায়। এছাড়া রাজশাহী অঞ্চলভুক্ত পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) চারজন কর্মকর্তার নামও ইয়াবা চক্রের তালিকায় উঠে এসেছে।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে যাচাই-বাছাই শেষে ওই তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। যার সঙ্গে পাঁচটি মন্তব্য ও চক্র নিয়ন্ত্রণে চারটি সুপারিশ জুড়ে দেয়া হয়েছে। ওই প্রতিবেদন ও তালিকার কপি প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।
গোপন ওই প্রতিবেদনের শুরুতে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ক্যাম্পাসে সম্প্রতি ইয়াবার ভয়াবহ বিস্তারে শঙ্কা নিয়ে বিস্তর আলোচনার পর চক্র নিয়ন্ত্রণে চারটি সুপারিশ করা হয়েছে। তালিকাভুক্তদের নিয়মিত অনুসরণ, কঠোর নজরদারি ও প্রয়োজনে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তবে ওই প্রতিবেদনে থাকা কয়েকটি নাম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা। ‘এহসান’ নামে পরিসংখ্যান বিভাগের মাস্টার্সের একজন ছাত্রের নাম তালিকায় উল্লেখ করা হলেও বিভাগে খোঁজ নিয়ে ওই নামে কাউকে পাওয়া যায়নি। আর তালিকা প্রণয়নে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও ব্যক্তিগত শত্রুতার প্রতিফলন’ ঘটেছে বলে দাবি অভিযুক্ত কয়েকজনের।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
তালিকাভুক্ত ছয় শিক্ষক : গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সেলিম রেজা নিউটন, ড. মুসতাক আহমেদ, আইবিএ এর সহযোগী অধ্যাপক মোহা. হাছানাত আলী, লোক প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক স্বপ্নীল রহমান, মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুস সালাম, চিত্রকলা প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আমির্বল ইসলাম।
তালিকাভুক্ত ছয় শিক্ষক : গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সেলিম রেজা নিউটন, ড. মুসতাক আহমেদ, আইবিএ এর সহযোগী অধ্যাপক মোহা. হাছানাত আলী, লোক প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক স্বপ্নীল রহমান, মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুস সালাম, চিত্রকলা প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আমির্বল ইসলাম।
আট কর্মকর্তা-কর্মচারী : রাবির হিসাব শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার মাহমুদুর রহমান, বীমা ইউনিটের সেকশন অফিসার কেবিএম শাহীন, মেডিকেল সেন্টারের পিয়ন রবিউল সরকার রবি, প্রশাসন ভবনের নিম্নমান সহকারী মাসুদ, ফলিত গণিত বিভাগের ল্যাব এ্যাটেনডেন্ট তৌহিদুল ইসলাম কালু, স্টুয়ার্ড শাখার প্রহরী মো. লালন, হিসাব শাখার উচ্চমান সহকারী বোরহান উদ্দীন, শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালার নিম্নমান সহকারী সুগার।
তালিকভুক্ত রাবি ছাত্রলীগের ১১ নেতাকর্মী : আখতারুল ইসলাম আসিফ (ক্রপ সায়েন্স বিভাগ, সহ-সভাপতি), আবু খায়ের মোস্তফা রিনেট (ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, সহ-সভাপতি, ছাত্রলীগ ও সাবেক ছাত্রদলকর্মী), তাওশিক তাজ (বাংলা বিভাগ ও ছাত্রলীগ নেতা), রবিউল আউয়াল মিল্টন (দর্শন বিভাগ ও সহ-সভাপতি), এরশাদুর রহমান রিফাত (মাস্টার্স, ফিন্যান্স বিভাগ, সহ-সভাপতি), সাইফুল ইসলাম বিজয় (আইন বিভাগ, বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা), শরিফুল ইসলাম সাদ্দাম (ড্রপ আউট, লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা), অনিক মাহমদু বনি (রাষ্ট্রবিজ্ঞান, বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ কর্মী), এস.এম আবু হানজালা (ফোকলোর, সহ-সম্পাদক), মুশফিক তাহমিদ তন্ময় (ফোকলোর, সাংগঠনিক সম্পাদক), রেজওয়ানুল হক হৃদয় (সহ-সভাপতি)।
তালিকাভুক্ত ছাত্রদলের তিন নেতা : আরাফাত রেজা আশিক (সাবেক আহ্বায়ক, ছাত্রদল), দেলোয়ার হোসেন (সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক, ছাত্রদল), নুরুজ্জামান লিখন (সাবেক আহ্বায়ক, হবিবুর হল ছাত্রদল)।
তালিকাভুক্ত ছয় শিক্ষার্থী : শফিক (মাস্টার্স, ফিন্যান্স বিভাগ), সেলিম (মাস্টার্স, আইন বিভাগ), নাজমুল ইসলাম পলাশ (গণযোগাাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, তৃতীয় বর্ষ), পল্লব গুহ (মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগ), মাহমুদুল হাসান মুন্না (গ্রাফিক ডিজাইন বিভাগ), এহসান (মাস্টার্স, পরিসংখ্যান বিভাগ)।
তালিকাভুক্ত রুয়েটের ১০ জন : পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক কামরুজ্জামান রিপন, শাহনেওয়াজ সরকার সেডু (সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, রুয়েট), সংস্থাপন শাখার কম্পিউটার অপারেটর মুরাদ হোসেন, রাজিব হাসান রনি, আখতারুজ্জামান (জুনিয়র অফিসার, সিভিল বিভাগ), এসএম জাকির হোসেন (এমএলএসএস, সিভিল), আসাদুজ্জামান (এমএলএসএস, সিএসই), আশিকুল্লাহ (ল্যাব এটেনডেন্ট, লাইব্রেরি শাখা)। এছাড়া ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিঙ ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১২ সিরিজের একজন ছাত্রী (শেখ হাসিনা হল, রুম-১১১) ও যন্ত্রকৌশল বিভাগের ২০১২ সিরিজের অপর একজন ছাত্রীর নাম রয়েছে ওই ইয়াবা চক্রের তালিকায়।
পাবনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন : তৌফিকুল ইসলাম সৈকত (সেকশন অফিসার), শাহাদাত হোসেন (সহকারী টেকনিক্যাল অফিসার), দালাল সরদার বাবু (নিরাপত্তা প্রহরী) ও আহমেদ রায়হান তর্ব (কম্পিউটার অপারেটর, ফার্মেসী বিভাগ)।
গোপন প্রতিবেদনে মন্তব্য : প্রতিবেদনে ইয়াবার ভয়বহতা প্রসঙ্গে টেনে সেখানে পাঁচটি মন্তব্যও জুড়ে দেয়া হয়েছে। সেগুলো হলো-
এক. ইয়াবাসহ মাদক ব্যবহার বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে অন্য শিক্ষাঙ্গনগুলোতেও তা ছড়িয়ে পড়বে।
দুই. ইয়াবার এরূপ ব্যবহার চলতে থাকলে জাতি মেধাশূন্য হয়ে পড়বে এবং কর্মস্পৃহা হারিয়ে বেকার থেকে দেশের বোঝা হয়ে পড়বে।
তিন. মাদকের অর্থ সরবারহ করে জঙ্গি কিংবা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মাদকাসক্তদের ম্যানেজ করে ক্যাম্পাসে অবৈধ অস্ত্রের প্রবেশ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালানোর সুযোগ পেতে পারে।
চার. এতে অশ্লীলতা ও পাশবিকতা এবং ছাত্রীদের হয়রানি বৃদ্ধি পেতে পারে।
পাঁচ. শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদেরও মাদকে জড়িয়ে পড়া জাতির জন্য অশনি সংকেত বৈ কিছু নয়।
এক. ইয়াবাসহ মাদক ব্যবহার বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে অন্য শিক্ষাঙ্গনগুলোতেও তা ছড়িয়ে পড়বে।
দুই. ইয়াবার এরূপ ব্যবহার চলতে থাকলে জাতি মেধাশূন্য হয়ে পড়বে এবং কর্মস্পৃহা হারিয়ে বেকার থেকে দেশের বোঝা হয়ে পড়বে।
তিন. মাদকের অর্থ সরবারহ করে জঙ্গি কিংবা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মাদকাসক্তদের ম্যানেজ করে ক্যাম্পাসে অবৈধ অস্ত্রের প্রবেশ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালানোর সুযোগ পেতে পারে।
চার. এতে অশ্লীলতা ও পাশবিকতা এবং ছাত্রীদের হয়রানি বৃদ্ধি পেতে পারে।
পাঁচ. শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদেরও মাদকে জড়িয়ে পড়া জাতির জন্য অশনি সংকেত বৈ কিছু নয়।
প্রতিবেদনে সুপারিশ : তালিকার সঙ্গে যুক্ত অংশে চারটি সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করা হয়েছে। এগুলো হলো-
এক. জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইননুগ ব্যবস্থা গ্রহণ।
দুই. ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলসমূহে বহিরাগতদের সীমিত আকারে প্রবেশ কিংবা প্রয়োজনে বহিরাগতদের আগমনে নতুন কার্যকরী কৌশল গ্রহণ।
তিন. ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে অনুমোদিত ব্যতীত ও ভাসমান চা-পানের দোকান উচ্ছেদের ব্যবস্থা করা।
চার. ক্যাম্পাসের নিকটবর্তী মেস সমৃদ্ধ এলাকায় স্থাপিত হোস্টেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক আকস্মিক তলৱাশি অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
এক. জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইননুগ ব্যবস্থা গ্রহণ।
দুই. ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলসমূহে বহিরাগতদের সীমিত আকারে প্রবেশ কিংবা প্রয়োজনে বহিরাগতদের আগমনে নতুন কার্যকরী কৌশল গ্রহণ।
তিন. ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে অনুমোদিত ব্যতীত ও ভাসমান চা-পানের দোকান উচ্ছেদের ব্যবস্থা করা।
চার. ক্যাম্পাসের নিকটবর্তী মেস সমৃদ্ধ এলাকায় স্থাপিত হোস্টেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক আকস্মিক তলৱাশি অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
অভিযুক্তদের বক্তব্য :
তালিকায় নাম থাকা গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সেলিম রেজা নিউটন বলেন, ‘আজকে উছিলা মাদক, কাল হয়তো অন্য কিছু হবে। মুক্ত ক্যাম্পাসকে নষ্ট করে কোনো মঙ্গলের দিকে আমরা যেতে পারব না। ব্যক্তিগতভাবে আমার নাম ইয়াবা চক্রে যুক্ত হওয়ার ব্যাপার বলতে পারি- লেখাপড়া, শিক্ষকতা ছাড়া আমি তেমন কোনো কাজই করি না। একটু-আধটু কবিতা ও গান করি, ফলে এটা হাস্যকরও বটে। আবার খুব চিন্তারও বটে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাভারে কারা কাজ করছেন, তারা সবকিছু ঠিকঠাক করছেন কিনা? মনে হয় কোথাও একটু গোলমাল আছে।’
তালিকায় নাম থাকা গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সেলিম রেজা নিউটন বলেন, ‘আজকে উছিলা মাদক, কাল হয়তো অন্য কিছু হবে। মুক্ত ক্যাম্পাসকে নষ্ট করে কোনো মঙ্গলের দিকে আমরা যেতে পারব না। ব্যক্তিগতভাবে আমার নাম ইয়াবা চক্রে যুক্ত হওয়ার ব্যাপার বলতে পারি- লেখাপড়া, শিক্ষকতা ছাড়া আমি তেমন কোনো কাজই করি না। একটু-আধটু কবিতা ও গান করি, ফলে এটা হাস্যকরও বটে। আবার খুব চিন্তারও বটে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাভারে কারা কাজ করছেন, তারা সবকিছু ঠিকঠাক করছেন কিনা? মনে হয় কোথাও একটু গোলমাল আছে।’
এছাড়া তালিকাভুক্ত অন্য চারজন শিক্ষক এটাকে ‘উদ্ভট ও বানোয়াট’ বলে দাবি করেছেন। তবে লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক স্বপ্নীল রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। অপরদিকে রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া এ ‘তালিকাটি বিভ্রান্তিকর’ বলে দাবি করেন।
পুলিশ প্রশাসনের বক্তব্য :
গত বুধবার রাজশাহীতে এসে এ বিষয়ে কথা বলেছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক। তিনি বলেন, ‘কেউ যদি মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকে, সে যত বড় গডফাদার হোক। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তারা যে দলের হোক বা যত প্রভাবশালী হোক, তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার বিধানও আছে। আমরা কারও প্রতি অনুকম্পা দেখাবো না। কোনো পুলিশ কর্মকর্তাও যদি মাদক কারবারে যুক্তদের ব্যাপারে অনুকম্পা দেখায়, তবে তথ্য প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
গত বুধবার রাজশাহীতে এসে এ বিষয়ে কথা বলেছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক। তিনি বলেন, ‘কেউ যদি মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকে, সে যত বড় গডফাদার হোক। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তারা যে দলের হোক বা যত প্রভাবশালী হোক, তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার বিধানও আছে। আমরা কারও প্রতি অনুকম্পা দেখাবো না। কোনো পুলিশ কর্মকর্তাও যদি মাদক কারবারে যুক্তদের ব্যাপারে অনুকম্পা দেখায়, তবে তথ্য প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার (আরএমপি) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত। তবে তালিকা এবং প্রতিবেদনটি এখনও আমি দেখিনি। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হবে। তবে পুলিশ কাউকে অযথা হয়রানি করবে না, তথ্য-প্রমাণ মিললে তবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
সিনিয়র অধ্যাপক ও রাবি কর্তৃপক্ষের ভাবনা :
বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যসহ সিনিয়র বেশ কয়েকজন অধ্যাপক। বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শহীদ ইকবাল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মানে যা খুশি তাই করব, সেখানে যদি কোনো শৃঙ্খলা না থাকে তাহলে সেখানে তো শিক্ষকতার কোনো মানে হয় না। বিশ্ববিদ্যালয় স্বপ্নের জায়গা, সেটা যদি দুঃস্বপ্নের দিকে যায় তাহলে দেশ জাতি এটা নিয়ে কিছু ভাবতে পারবে না, এখান থেকে কিছু আশা করবে না মানুষ। ফলে চক্র রুখতে সামাজিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষকে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যসহ সিনিয়র বেশ কয়েকজন অধ্যাপক। বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শহীদ ইকবাল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মানে যা খুশি তাই করব, সেখানে যদি কোনো শৃঙ্খলা না থাকে তাহলে সেখানে তো শিক্ষকতার কোনো মানে হয় না। বিশ্ববিদ্যালয় স্বপ্নের জায়গা, সেটা যদি দুঃস্বপ্নের দিকে যায় তাহলে দেশ জাতি এটা নিয়ে কিছু ভাবতে পারবে না, এখান থেকে কিছু আশা করবে না মানুষ। ফলে চক্র রুখতে সামাজিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষকে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মো. আবুল কাশেম বলেন, ‘মাদকাসক্ত শিক্ষক যিনি, তার পক্ষে কোনো ধরনের বুদ্ধিবৃত্তিক বা শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রণোদনামূলক কাজ করার ক্ষমতা রাখেন না তিনি। কারণ সমাজের কাছে তিনিও মাদকাসক্ত হিসেবে পরিচিতি পান। তাকে কেউ মান্য করে না, সম্মান করে না। প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষের উচিত, বিশাল যে বিশ্ববিদ্যালয় সেখানে মাদকের সাপ্লাই বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া। জড়িতদেরকে শক্ত হাতে মোকাবেলা করা উচিত হবে।’
জানতে চাইলে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. আব্দুস সোবহান বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে এটি গভীর পরিতাপের বিষয়, খুবই উদ্বেগজনক। শিক্ষকরা যখন এই অনৈতিক কাজে জড়ায়, তাদের কাছে যারা শিক্ষা গ্রহণ করে; তারা অনৈতিক কাজে জড়াবে এটা খুব স্বাভাবিক। এর বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন দারকার। বিশ্ববিদ্যালয়েও একটি আইন আছে, নৈতিক স্খলনের জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। আমি মনে করি- সেটি নেয়ার সময় এসেছে।’ সূত্র- সোনালী সংবাদ