Header Image

পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যে চলছে পুঠিয়ার দুই ইউপির নির্বাচনী প্রচারণা

পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যে চলছে পুঠিয়ার দুই ইউপির নির্বাচনী প্রচারণা



নিজস্ব প্রতিবেদক : অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের মধ্য দিয়ে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বন্ধ থাকা দুই ইউনিয়নের নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা শুরু হয়েছে। তৃতীয় দফায় জটিলতা কাটিয়ে জোরতালে চলছে নির্বাচনী প্রচারণা। প্রার্থীরা রাতদিন সমান তালা চালিয়ে যাচ্ছে গণসংযোগ পথসভা। প্রার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠছে পাড়া-মহল্লা। দীর্ঘ ১৫বছর পর নির্বাচন হওয়ায় এই দুই ইউনিয়নের ভোটারদের মাঝে বইছে আনন্দের জোয়ার। তবে নির্বাচনী মাঠে প্রার্থীদের অভিযোগও কম নয়। প্রতিপক্ষ প্রার্থীর লোকজনদের হুমকি, মারপিটসহ নানা অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছে। তবে নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হচ্ছে যেকোনো পরিস্থিতিতে এই দুই ইউনিয়নে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে তারা অঙ্গিকার বদ্ধ।
জানা গেছে, পুঠিয়ার শিলমাড়িয়া ভালুকগাছি এই দুই ইউনিয়নে সীমানা জটিলতার কারণে এরআগে দুইবার তফসিল ঘোষণা হলেও ভোট গ্রহনের কয়েকদিন আগে বন্ধ হয়ে যায়। সর্বশেষ শিলমাড়িয়া ইউপিতে ২০০৩ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর মামলার কারণে ১৫ বছর ধরে নির্বাচন স্থগিত ছিল। জটিলতা কাটিয়ে সর্বশেষ ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী গত মার্চ মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল। ১২ মার্চ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের যাচাইবাছাই করা হয়। আগামী ২৯ মার্চ এই দুই ইউনিয়নের ভোট গ্রহন হবে। দুই ইউনিয়নের মধ্যে ভালুকগাছি ইউনিয়নে কোনো অভিযোগ না থাকলেও শিলমাড়িয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিএনপির প্রার্থীর মধ্যে একে অপর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন।
শিলমাড়িয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনিত প্রার্থী রয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন মুকুল (নৌকা), বিএনপি থেকে দলীয় মনোনিত প্রার্থী রয়েছেন আসাদুজ্জামান আবু হায়াত (ধানের শীষ) ওয়ার্কার্সপার্টি থেকে আজাহারুল ইসলাম (হাতুড়ি মার্কা) নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে মাঠ দখল করে আছেন আওয়ামী লীগ বিএনপির প্রার্থী। একই সাথে ভালুকগাছি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে বিএনপির তহিদুল ইসলাম (ধানের শীষ), জামায়াতের সতন্ত্র মুঞ্জুর রহমান (চশমা), বিএনপির সতন্ত্র নাজমুলগনি পিন্টু (ঘোড়া) আওয়ামীগের একক প্রার্থী তাকবির হাসান নৌকা প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বি করছেন। প্রতিক বরাদ্দের পর থেকে চেয়ারম্যান সাধারণ সদস্যরা ভোটারদের মন জয় করতে তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। দিচ্ছেন নানা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি।

এদিকে পুঠিয়া শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের বিএনপির প্রার্থী আবু হায়াত আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে জানান, আওয়ামী লীগের প্রার্থী চাননি এই ইউনিয়নে নির্বাচন হোক। তারপরও জটিলতা কাটিয়ে নির্বাচন কমিশন আগামী ২৯ মার্চ ভোট গ্রহণ করতে যাচ্ছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থকরা প্রতিনিয়ত বিএনপির কর্মী সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন মুকুল বহিরাগত লোকজন নিয়ে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন। বহিরাহতদের দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের হুমকি মারপিট করছে। তিনি অভিযোগ করেন, শুক্রবার রাতে সাজ্জাদ হোসেন মুকুল নাটোর থেকে এক চেয়ারম্যানকে নিয়ে এসে প্রচারণা চালিয়েছেন। এসময় বিএনপির কর্মীরা প্রচারণা চালাতে গেলে তাদের মারপিট করা হয়। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে প্রচারণা পোষ্টারের যে মাপ দেয়া হয়েছে সেটিও তিনি লঙ্ঘন করেছেন। তার প্রচারণা পোষ্টার, ব্যানার নির্বাচন কমিশন থেকে দেয়া মাপের চেয়ে অনেক বড়। তবে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে শিলমাড়িয়া ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থীর জয়জয়কার হবে। তিনি বিষয়টির ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কারণা করেন।


তবে বিএনপির প্রার্থীর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন মুকুল। তিনি বলেন, বিএনপির প্রার্থী নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় চিন্তা করে এধরনের অভিযোগ তুলছেন। বিএনপির কোনো নেতাকর্মীদের কোনো ধরনের ভয়ভীতি দেখানো হয়নি। তিনি বলেন, বিএনপির প্রার্থী বিভ্রান্ত সৃষ্টি করার লক্ষে উস্কানিমুলক কথা বার্তা ছাড়াচ্ছেন। নির্বাচনে তার শতভাগ জয় নিশ্চিত বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা নির্বাচন রির্টানিং অফিসার জয়নুল আবেদিন জানান, প্রার্থীরা অভিযোগ দেয়ার সাথে সাথে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত দুই ইউনিয়নের কোনো চেয়ারম্যান প্রার্থী লিখিত অভিযোগ দেননি। তিনি বলেন নির্বাচনী এলাকায় মোবাইল কোর্ট ভ্রাম্যমান আদালত কাজ শুরু করে দিয়েছেন। যেকোনো অভিযোগ আমলে নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। তিনি বলেন সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ছাড় দেয়া হবে না। শিলমাড়িয়া ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৬শ৬৯ জন ভালুকগাছি ইউনিয়নের ভোটার সংখ্যা ২৫হাজার ৩শ৩২জন।
উল্লেখ্য, ইউনিয়নটিতে দুবার তফসিল ঘোষনা হলেও ভোট গ্রহনের আগে দুবারই নির্বাচন স্থগিত হয়। প্রথম দফায় ইউনিয়নটিতে ভোট গ্রহনের দিন আগে নির্বাচন স্থগিত চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেন শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের জহির নামের এক ব্যক্তি। দ্বিতীয় দফায় একই ব্যক্তি ভোট গ্রহনের ২৪ দিন আগে নির্বাচন স্থগিত চেয়ে ফের উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করলে নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়।

Share:

আপনি সড়গাছীর সকল কিছু মেনে নিয়েছেন।

সাধারণ কিছু কথা।

সড়গাছী গ্রাম সম্পর্কে যদি কোন মতবাদ/অভিমত থাকে তাহলে ডান পাশে Contact Us এর নিচে আপনার মূল্যবান মতবাদ/অভিমত প্রকাশ করুন।

সড়গাছী গ্রামের পক্ষথেকে সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

Contact Us

Name

Email *

Message *

রক্তের প্রয়োজনে।