Header Image

রাজশাহীতে রাজাকার পরিবার দ্বারা সাধারণ মানুষকে হত্যার চেষ্টা।

 

রাজশাহীতে রাজাকার পরিবার দ্বারা সাধারণ মানুষকে হত্যার চেষ্টা

রাজশাহীর পুঠিয়া থানার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের সড়গাছি গ্রামের এক রাজাকার পরিবার আজ দুপুর ১২.০০ টায় গ্রামের এক সাধারণ মানুষকে হত্যার চেষ্টা করলে গ্রামবাসিরা তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করে গ্রামের সবার সাথে কথা বলে জানা গেছে, মোঃ বজলু শাহ্,পিতা নুরু শাহ্তাকে দুপুর ১২.০০ টার দিকে রাস্তায় একা পেয়ে রাজাকার পরিবার সহ কিছু ভাড়া করা খুনিদের নিয়ে মোঃ বজলু শাহ্কে আক্রমণ করে তাতে মোঃ বজলু শাহ্গুরুতর আহত হয়ে রাজশাহী মেডিক্যালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় ভর্তি আছে, ডাক্তার জানিয়েছে তার অবস্থা আশঙ্কা জনক রাজাকার পরিবার মোঃ বজলু শাহের বন্ধুর জমি দখল করলে, বজলু শাহ্সহ গ্রামের সকল মানুষ বাধা দিয়ে থাকে এর আগেও এই জমি নিয়ে রাজাকার পরিবার একজন কে হত্যার চেষ্টা করলেও সে বেঁচে যায় আর জানা গেছে রাজাকার পরিবার অনেকদিন থেকে এভাবে গ্রামের মানুষের জমি দখল করে আসছে গ্রামের মানুষ কিছু বলতে গেলে ভাড়াটিয়া খুনিদের দিয়ে হুমকি ধামকি দিয়ে থাকে রাজাকার পরিবারের মধ্যে মোঃ আনছার, আজিজ আরিফ অন্যতম মোঃ আনছারকে একসময় গ্রামের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে এক হাত কেটে দেয় এমতা অবস্থায় দুই সন্তান আজিজ আরিফকে নিয়ে পুনরায় গ্রামে অত্যাচার দাঙ্গা-হাঙ্গামা শুরু করে এবং ভাড়াটিয়া খুনি হাবু,বাবু,মাসুদ,নোরশাদ ও রাজন কে নিয়ে গ্রামের সাধারণ মানুষদের হত্যার চেষ্টা ও হুমকি দিয়ে থাকে হাবু,বাবু,মাসুদ,নোরশাদ ও রাজন তারা টাকার বিনিময়ে এগুলো করে এবং তারা সর্বদা নেশার জন্যে মানুষের কাছ থেকে চাঁদাবাজি, সরকারী রাস্তার গাছ চুরি করে কেটে বিক্রয়এছাড়াও তারা নানা অপকর্মের সাথে জড়িত।   


Share:

সড়গাছি গ্রামের হিতৈষী জন সাধারনের উদ্যোগে অত্র গ্রামের হত দরিদ্র মানুষের মাঝে ত্রান বিতরন।


রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলাধীন শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের সড়গাছি গ্রামের হিতৈষী ব্যাক্তি বর্গের সহযোগিতায় ১২০ (গরীব) পরিবার কে চাউল বিতারণ করা হয়েছে।
জানা গেছে বুধবার বিকাল ৪ ঘটিকায় সড়গাছি গ্রামের পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদে গরীব পরিবার কে ত্রান সামগ্রী বিতরন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সেখানে অত্র গ্রামের সকল জন সাধারণ বাক্তি বর্গ উপস্থিত ছিলেন।
Share:

সড়গাছি গ্রামে করোনা ভাইরাসের জন্যে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে গ্রামের কিছু তরুনরা।


সড়গাছি গ্রামে করোনা ভাইরাসের জন্যে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে গ্রামের কিছু তরুনরা।


রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলাধীন সড়গাছি গ্রামের কিছু তরুনরা করোনা ভাইরাসের জন্যে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে, সেই গ্রামে। এই গ্রামে সকল জনসাধারণের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এ গ্রামের কিছু তরুনরা সর্বদা গ্রামের উন্নতি কল্পে বিনা স্বার্থে প্রতিনিয়ত কাজ করে আচ্ছে। তাদের মধ্যে উল্লেখ্য আছে নয়ন, আব্দুল্লাহ, রিংকু, মতিন, রহিদুল, সাগর, শিমুল, সাব্বির, সাব্বির শাহ্‌ এবং গ্রামের পেশ ইমাম শাহরিয়ার আলম। শুধু একটি কাজ নিয়ে তারা থাকে না, অনেক ধরণের কাজে তারা লিপ্ত থাকে। তবে এগুলো সমাজ কেন্দ্রিক, যা সমাজের মানুষের মঙ্গল বয়ে আনে। এবং তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে তারা যদি বাহিরে (সরকার) থেকে কোন সাহায্য পেত, তাহলে তাদের জন্যে গ্রামের মানুষদের সাহায্য করা সহজ হত। তবে তারা তাদের গ্রাম সহ অন্যান্য গ্রামেও অনুরূপ সাহায্য করতে চায়।  



Share:

করোনা ভাইরাস - CORONA VIRUS (COVID-19)

করোনা ভাইরাস  


করোনাভাইরাস
Coronaviruses 004 lores.jpg
SARS-CoV-2 without background.png
ভাইরাসের শ্রেণীবিন্যাস
গ্রুপ:৪র্থ গ্রুপ ((+)ssRNA)
বর্গ:নিদুভাইরাস
পরিবার:করোনাভাইরদা
উপপরিবার:করোনাভাইরিনা
গণ:
  • আলফাকরোনাভাইরাস
  • বেটাকরোনাভাইরাস
  • ডেল্টাকরোনাভাইরাস
  • গামাকরোনাভাইরাস
আদর্শ প্রজাতি
করোনাভাইরাস
করোনাভাইরাস (চীনা冠状病毒ইংরেজি: Coronavirus) হলো একই শ্রেণীভুক্ত ভাইরাস যারা স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং পাখি আক্রান্ত করে। মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস শ্বাসনালী সংক্রমণ ঘটায়। এই সংক্রমণের লক্ষণ মৃদু হতে পারে, অনেকসময় যা সাধারণ ঠাণ্ডাজ্বরের ন্যায় মনে হয় (এছাড়া অন্য কিছুও হতে পারে, যেমন রাইনোভাইরাস), কিছু ক্ষেত্রে তা অন্যান্য মারাত্মক ভাইরাসের জন্য হয়ে থাকে, যেমন সার্সমার্স এবং কোভিড-১৯। অন্যান্য প্রজাতিতে এই লক্ষণের তারতম্য দেখা যায়। যেমন মুরগির মধ্যে এটা উর্ধ্ব শ্বাসনালী সংক্রমণ ঘটায়, আবার গরু ও শূকরে এটি ডায়রিয়া সৃষ্টি করে। মানবদেহে সৃষ্ট করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়ানোর মত কোনো ভ্যাক্সিন বা অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ আজও আবিষ্কৃত হয়নি।
করোনাভাইরাস রাইবোভিরিয়া পর্বের নিদুভাইরাস বর্গের করোনাভিরিডি গোত্রের অর্থোকরোনাভিরিন্যা উপ-গোত্রের সদস্য।[১][২] তারা পজিটিভ সেন্স একক সূত্রবিশিষ্ট আবরণীবদ্ধ বা এনভেলপড ভাইরাস। তাদের নিউক্লিওক্যাপসিড সর্পিলাকৃতির। এর জিনোমের আকার সাধারণত ২৭ থেকে ৩৪ কিলো বেস-পেয়ার (kilo base-pair) এর মধ্যে হয়ে থাকে যা এ ধরনের আরএনএ ভাইরাসের মধ্যে সর্ববৃহৎ।[৩] করোনাভাইরাস শব্দটি ল্যাটিন করোনা থেকে নেওয়া হয়েছে যার অর্থ মুকুট। কারণ দ্বিমাত্রিক সঞ্চালন ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রে ভাইরাসটির ক্লাব-আকৃতির প্রোটিন স্পাইকের কারণে একে দেখতে অনেকটা মুকুট বা সৌর করোনার মত। ভাইরাসের উপরিভাগ প্রোটিন সমৃদ্ধ থাকে যা ভাইরাল স্পাইক পেপলোমার দ্বারা এর অঙ্গসংস্থান গঠন করে। এ প্রোটিন সংক্রমিত হওয়া টিস্যু বিনষ্ট করে। ভাইরাসটি ডাইমরফিজম রুপ প্রকাশ করে। ধারনা করা হয়, প্রাণীর দেহ থেকে এই ভাইরাস প্রথম মানবদেহে প্রবেশ করে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

করোনাভাইরাস ১৯৬০-এর দশকে প্রথম আবিষ্কৃত হয়। প্রথমদিকে মুরগির মধ্যে সংক্রামক ব্রঙ্কাইটিস ভাইরাস হিসেবে এটি প্রথম দেখা যায়। পরে সাধারণ সর্দি-হাঁচি-কাশিতে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে এরকম দুই ধরনের ভাইরাস পাওয়া যায়। মানুষের মধ্যে পাওয়া ভাইরাস দুটি ‘মনুষ্য করোনাভাইরাস ২২৯ই’ এবং ‘মনুষ্য করোনাভাইরাস ওসি৪৩’ নামে নামকরণ করা হয়।[৪] এরপর থেকে বিভিন্ন সময় ভাইরাসটির আরো বেশ কিছু প্রজাতি পাওয়া যায় যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ২০০৩ সালে। ‘এসএআরএস-সিওভি’, ২০০৪ সালে ‘এইচসিওভি এনএল৬৩’, ২০০৫ সালে ‘এইচকেইউ১’, ২০১২ সালে ‘এমইআরএস-সিওভি’ এবং সর্বশেষ ২০১৯ সাল চীনে ‘নোভেল করোনাভাইরাস’। এগুলোর মধ্যে অধিকাংশ ভাইরাসের ফলে শ্বাসকষ্টের গুরুতর সংক্রমণ দেখা দেয়।[৫]

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির প্রাথমিক লক্ষণ[সম্পাদনা]

  • জ্বর
  • অবসাদ
  • শুষ্ক কাশি
  • বমি হওয়া
  • শ্বাসকষ্ট
  • গলা ব্যাথা
  • অঙ্গ বিকল হওয়া
  • মাথা ব্যাথা
  • পেটের সমস্যা
  • কিছু রোগীর ক্ষেত্রে উপরোক্ত সকল উপসর্গ দেখা গেলেও জ্বর থাকেনা।[৬]

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব (২০১৯-২০২০)[সম্পাদনা]

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাসের একটি প্রজাতির সংক্রামণ দেখা দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভাইরাসটিকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ‘২০১৯-এনসিওভি’ নামকরণ করে। ২০২০ সালের ১৩ মার্চ পর্যন্ত চীনের সাথে সাথে ১২১টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে সংক্রমণের খবর পাওয়া যায় যাতে ৮,৯৬০ জনের বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করে। নিশ্চিতভাবে বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলে আরো ২,১৯,৩৮৪ জন রোগী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং ৮৫,৭৪৯ জনের বেশি লোক চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে ওঠেছে বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
উহানে দেখা দেওয়া ভাইরাস প্রজাতিটি ‘এসএআরএস-সিওভি’ প্রজাতির সাথে ~৭০% জিনগত মিল পাওয়া যায়।[৭] অনেকেই অনুমান করছেন নতুন এ প্রজাতিটি সাপ থেকে এসেছে যদিও অনেক গবেষক এ মতের বিরোধীতা করেন।[৮]

শব্দতত্ত্ব[সম্পাদনা]

“করোনাভাইরাস” নামটির উৎপত্তি ল্যাটিন শব্দ করোনা থেকে যার অর্থ “মুকুট” বা “হার”। করোনা শব্দটি নিজে গ্রিক κορώνη korṓnē থেকে এসেছে যার অর্থ “মালা” বা “হার”। নামটি ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপের মাধ্যমে ভিরিয়নের (ভাইরাসের সংক্রামক আকার) বৈশিষ্ট্যমূলক উপস্থিতিকে নির্দেশ করে। ভিরিয়নের বিশাল কন্দাকৃতি পৃষ্ঠ অভিক্ষেপযুক্ত প্রান্ত রয়েছে যা মুকুটের স্মৃতি তৈরি করে। এর অঙ্গসংস্থান ভাইরাল স্পাইক পেপলোমিয়ার দ্বারা তৈরি হয়েছে যেগুলো মূলত ভাইরাসের পৃষ্ঠে অবস্থিত প্রোটিন।

অঙ্গসংস্থান[সম্পাদনা]

Cross-sectional model of a coronavirus
করোনাভাইরাসের প্রস্থচ্ছেদ
করোনাভাইরাস বাল্বাস পৃষ্ঠের সাথে প্লিওমরফিক গোলাকার কণাসদৃশ।[৯] ভাইরাস কণার ব্যাস প্রায় ১২০ ন্যানোমিটার।[১০] ইলেক্ট্রন মাইক্রোগ্রাফগুলিতে ভাইরাসের আচ্ছাদনটি ইলেক্ট্রন গাঢ় শাঁসগুলির একটি পৃথক জোড়া হিসাবে উপস্থিত হয়।[১১]
সকল প্রজাতির করোনাভাইরাসে সাধারণত স্পাইক (এস), এনভেলপ (ই), মেমব্রেন (এম) এবং নিউক্লিওক্যাপসিড (এন) নামক চার ধরনের প্রোটিন দেখা যায়। ভাইরাল আচ্ছাদনে একটি লিপিড বাইলেয়ার থাকে যেখানে মেমব্রেন (এম), এনভেলপ (ই) এবং স্পাইক (এস) কাঠামোগত অ্যাংকর প্রোটিন থাকে।[১২] করোনাভাইরাসগুলির একটি উপসেট (বিশেষত বিটাকরোনাভাইরাস "সাবগ্রুপ এ"-এর ​​সদস্যদের) হিমাগ্লুটিনিন অ্যাস্টেরেস নামে একটি সংক্ষিপ্ত স্পাইক-জাতীয় পৃষ্ঠ-প্রোটিন রয়েছে।[১৩]

রেপ্লিকেশন[সম্পাদনা]

ভাইরাস যখন এর আশ্রয়দাতা অঙ্গে প্রবেশ করে এবং সেই অঙ্গের আশ্রয়দাতা কোষের রিসিপ্টরে এর স্পাইক প্রোটিন সংযুক্ত করে তখনই সংক্রমণ শুরু হয়। সংযুক্তির পরে আশ্রয়দাতা কোষ থেকে নিঃসৃত প্রোটিয়েজ রিসেপ্টরের সাথে যুক্ত স্পাইক, প্রোটিনকে বিচ্ছিন্ন ও সক্রিয় করে। আশ্রয়দাতা কোষে প্রোটিয়েজ প্রাপ্তিসাপেক্ষে, বিচ্ছিন্নকরণ ও সক্রিয়করণের দ্বারা নির্ধারিত হয় ভাইরাসটি এন্ডোসাইটোসিসের মাধ্যমে নাকি আশ্রয়দাতা কোষঝিল্লির সাথে ভাইরাল এনভেলপের সরাসরি একীভূত হওয়ার হওয়ার মাধ্যমে কোষে প্রবেশ করবে। []
আশ্রয়দাতা কোষে প্রবেশের সময় ভাইরাস কণাটি অনাবৃত অবস্থায় থাকে এবং এর জিনোম কোষের সাইটোপ্লাজমে প্রবেশ করে।[] করোনাভাইরাস আরএনএ জিনোমের একটি ৫’ মিথাইল ক্যাপ এবং একটি ৩’ পলিঅ্যাডেনিলেটেড লেজ রয়েছে যা আরএনএ কে রূপান্তরের জন্য আশ্রয়দাতা কোষের রাইবোজোমের সাথে যুক্ত রাখে।[]   

জিনোম[সম্পাদনা]


জিনোম অর্গানাইজেশনের পরিকল্পনামূলক উপস্থাপনা এবং SARS-CoV এবং MERS-CoV এর S প্রোটিনের কার্যকরী ডোমেন।
করোনাভাইরাসে একটি পজিটিভ সেন্স, এক-সূত্রক আরএনএ জিনোম থাকে। করোনাভাইরাসগুলির জিনোমের আকার প্রায় ২৭ থেকে ৩৪ কিলোবেইজের মধ্যে থাকে।[১৪] আরএনএ ভাইরাসগুলির মধ্যে এটির জিনোমের আকার একটি বৃহত্তম। জিনোমে একটি 5′ মিথাইলিটেড ক্যাপ এবং 3′ পলি অ্যাডেনিলেটেড লেজ থাকে।[১৫]
একটি করোনাভাইরাসের জন্য জিনোম অর্গানাইজেশন হলো 5'-লিডার-UTR (Untranslated Region) -রেপ্লিকেজ/ ট্রান্সক্রিপটেজ-স্পাইক (S) - এনভেলপ (E) - মেমব্রেন (M) - নিউক্লিওক্যাপসিড (এন) - 3'UTR - পলি (A) লেজ। মুক্ত রিডিং ফ্রেম 1a এবং 1b জিনোমের প্রথম দুই-তৃতীয়াংশ দখল করে এবং রেপ্লিকেজ/ট্রান্সক্রিপটেজ পলিপ্রোটিন এনকোড করে। রেপ্লিকেজ/ট্রান্সক্রিপটেজ পলিপ্রোটিন নিজে থেকেই ভেঙে গিয়ে অ-গাঠনিক প্রোটিন (Nonstructural Proteins, nsps) গঠন করে। [১৬]
পরবর্তী রিডিং ফ্রেমগুলি চারটি প্রধান গাঠনিক প্রোটিন: স্পাইক, এনভেলপ, মেমব্রেন এবং নিউক্লিওক্যাপসিডকে এনকোড করে।[১৭] এই রিডিং ফ্রেমগুলোর মধ্যে বিক্ষিপ্ত ফ্রেমগুলো হল আনুষঙ্গিক প্রোটিনগুলির জন্য রিডিং ফ্রেম। নির্দিষ্ট করোনভাইরাসের জন্য তার আনুষঙ্গিক প্রোটিনগুলির সংখ্যা এবং কার্যাবলী নির্দিষ্ট।[১৮]

সংক্রমণ[সম্পাদনা]

হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে সৃষ্ট পানিকণার ফলে আক্রান্তর সংস্পর্শে অপর ব্যক্তি আক্রান্ত হতে পারে।[১৯] করোনাভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের সাথে আক্রমণের শিকার হতে যাওয়ার কোষের হোস্ট কোষের গ্রাহকপ্রান্তের মিথস্ক্রিয়াই টিস্যু ট্রপিজমসংক্রাম্যতা এবং প্রজাতির ব্যাপ্তি ইত্যাদির ব্যাপারে তথ্য দেয়।[২০][২১] উদাহরণস্বরূপ, সার্স করোনাভাইরাস অ্যাঞ্জিওটেনসিন-রূপান্তরিত এনজাইম ২ (এসিই ২) মানবকোষে সংযুক্তির মাধ্যমে সংক্রামণ ঘটায়।[২২]

শ্রেণিবিন্যাস[সম্পাদনা]


করোনাভাইরাসের ফাইলোজেনেটিক বৃক্ষ
করোনাভাইরাসের বৈজ্ঞানিক নাম Orthocoronavirinae (অর্থোকরোনাভিরিনি) বা Coronavirinae (করোনাভিরিন্যা) করোনাভাইরাস করোনাভিরিডি পরিবারের সদস্য।

বিবর্তন[সম্পাদনা]

সকল প্রকার করোনাভাইরাসের সর্বশেষ সাধারণ পূর্বপুরুষ (মোস্ট রিসেন্ট কমন অ্যানসেস্টর বা এমআরসিএ) এর উৎপত্তি ঘটে আনুমানিক ৮০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে[২৩] আলফাকরোনাভাইরাসের এমআরসিএ ধারা ২৪০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে, বেটাকরোনাভাইরাসের ধারা ৩৩০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে, গামাকরোনাভাইরাসের ধারা ২৮০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এবং ডেল্টাকরোনাভাইরাসের ধারা ৩০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তৈরি হয়েছে। বাদুর এবং পাখির মত উড়ন্ত উষ্ণরক্তধারী মেরুদণ্ডী প্রাণীরাই করোনাভাইরাস জিন-উৎসের বিবর্তন এবং ছড়িয়ে দেওয়ার আদর্শ বাহক (বাদুড়ের জন্য আলফা ও বেটা করোনাভাইরাস, পাখির জন্য গামা এবং ডেল্টাকরোনাভাইরাস)।[২৪]
বোভাইন করোনাভাইরাস এবং ক্যানাইন শ্বসনযন্ত্রের করোনাভাইরাসের শেষ পূর্বপুরুষ এসেছে (~ ১৯৫০) এর দিকে।[২৫] বোভাইন এবং মানব করোনাভাইরাস ওসি৪৩ ১৮৯০-এর দিকে ছড়ায়। বোভাইন করোনাভাইরাস ছড়ায় ইকুয়াইন করোনাভাইরাস প্রজাতি থেকে, ১৮ শতকের শেষদিকে।[২৬]
মানব করোনাভাইরাস ওসি৪৩-এর এমআরসিএ ১৯৫০-এর দিকে উৎপত্তি লাভ করে।[২৭]
মার্স-কোভি কিছু বাদুড়ের করোনাভাইরাস প্রজাতির সাথে সম্পর্কযুক্ত হলেও ধারণা করা হয় বেশকিছু শতাব্দী আগে এর উৎপত্তি ঘটে।[২৮] মানব করোনাভাইরাস এনএল৬৩ এবং একটি বাদুড়ের করোনাভাইরাসের এমআরসিএ ৫৬৩-৮২২ বছর আগে উৎপত্তি লাভ করে।[২৯]
১৯৮৬ সালে বাদুড় করোনাভাইরাস এবং সার্স-কোভির সাথে সম্পর্কযুক্ত ভাইরাস উৎপত্তি লাভ করে।[৩০] বাদুড়ের সাথে সম্পর্কযুক্ত সার্স ভাইরাসের বিবর্তনের একটু যাত্রাপথ ব্যাখ্যা করা হয়েছে। গবেষকেরা মনে করেন, করোনাভাইরাস দীর্ঘসময় ধরে বাদুড়ের সাথে সাথে বিবর্তিত হয়েছে এবং সার্স-কোভির উত্তরসূরীরা প্রথমে হিপোসিডারিডি গণের প্রজাতির মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। এরপরে তা রাইনোলফিডির প্রজাতির মধ্যে, পরবর্তীতে ভামের মধ্যে এটি ছড়ায় এবং সর্বশেষে ছড়ায় মানুষের মধ্যে।[৩১][৩২]
আলপাকা করোনাভাইরাস এবং মানব করোনাভাইরাস ২২৯ই ১৯৬০-এর দিকে উৎপত্তি লাভ করে।[৩৩]

মানব করোনাভাইরাস[সম্পাদনা]

ক্ষতির সম্ভাবনার দিক থেকে করোনাভাইরাস বেশ বৈচিত্র্যময়। কিছু প্রকরণ আক্রান্তের ৩০%-এরও বেশিকে মেরে ফেলে (যেমন মার্স-কোভি), কিছু প্রকরণ মোটামুটি নিরীহ, যেমন সাধারণ ঠাণ্ডা।[৩৪] করোনাভাইরাস ঠাণ্ডার পাশাপাশি বড় ধরণের কিছু উপসর্গ সৃষ্টি করে, যেমন জ্বর, ফুলে যাওয়া অ্যাডিনয়েডের ফলে গলা ব্যথা। এগুলো সাধারণত শীতকালে এবং বসন্ত ঋতুর শুরুর দিকে হয়।[৩৫] করোনাভাইরাস নিউমোনিয়া ঘটাতে পারে (সরাসরিভাবে ভাইরাসজনিত নিউমোনিয়া অথবা পরোক্ষভাবে ব্যাকটেরিয়াজনিত নিউমোনিয়া) এবং ব্রঙ্কাইটিসের (সরাসরিভাবে ভাইরাসজনিত ব্রঙ্কাইটিস অথবা পরোক্ষভাবে ব্যাকটেরিয়াজনিত ব্রঙ্কাইটিস) মাধ্যমে।[৩৬] ২০০৩ সালে সার্স-কোভি ছড়ানোর পর থেকে করোনাভাইরাস পরিচিতি পায়। এই ভাইরাস একইসাথে সিভিয়ার এ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (সার্স) এবং উর্ধ্ব এবং নিম্ন শ্বাসনালী সংক্রমণ ঘটায়।[৩৬]
মানব করোনাভাইরাসের নিম্নলিখিত প্রকরণ আবিষ্কৃত হয়েছে:
  1. মানব করোনাভাইরাস ২২৯ই (এইচকোভি-২২৯ই)
  2. মানব করোনাভাইরাস ওসি৪৩ (এইচকোভি-ওসি৪৩)
  3. মানব করোনাভাইরাস এনএল৬৩ (এইচকোভি-এনএল৬৩, নিউ হ্যাভেন করোনাভাইরাস)
  4. মানব করোনাভাইরাস এইচকেইউ১
এবং নিচের তিনটি, সাধারণত মারাত্মক হয়ে থাকে:
  1. সিভিয়ার এ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (সার্স-কোভি বা সার্স ক্ল্যাসিক)
  2. মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম-সম্পর্কিত করোনাভাইরাস (মার্স-কোভি), পূর্বে “নোভেল করোনাভাইরাস ২০১২” এবং “এইচকোভি-ইএমসি” হিসেবে পরিচিত ছিল
  3. সিভিয়ার এ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম করোনাভাইরাস ২ (সার্স-কোভি-২), পূর্বে “২০১৯-কোভি” বা “নোভেল করোনাভাইরাস ২০১৯” হিসেবে পরিচিত ছিল
করোনাভাইরাস এইচকোভি-২২৯ই, -এনএল৬৩, -ওসি৪৩ এবং -এইচকেইউআই মানুষের মধ্যে ক্রমাগত ছড়ায় এবং বিশ্বজুড়ে প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুদের শ্বসনতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়।[৩৭]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

Share:

আপনি সড়গাছীর সকল কিছু মেনে নিয়েছেন।

সাধারণ কিছু কথা।

সড়গাছী গ্রাম সম্পর্কে যদি কোন মতবাদ/অভিমত থাকে তাহলে ডান পাশে Contact Us এর নিচে আপনার মূল্যবান মতবাদ/অভিমত প্রকাশ করুন।

সড়গাছী গ্রামের পক্ষথেকে সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

Contact Us

Name

Email *

Message *

রক্তের প্রয়োজনে।